জরিমানার পরেও থেমে নেই ভেজাল ঘি উৎপাদন 

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৫

পর্ব-১

মিজানুর রহমান : চট্টগ্রামের পশ্চিম মোহরা ধুপপোল এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের মোবাইল কোট সহকারী কমিশনার(ভূমি) চান্দগাঁও সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে গেল ০২/১২/২৪ ইং তারিখে একটি টিনশেড ভবনে ৪ টি কক্ষ নিয়ে অপরিষ্কার পরিবেশে খোলা বাজার থেকে পাম অয়েল সংগ্রহ করে প্রতি ৪-৫ কেজি পাম অয়েল এর সঙ্গে ১ কেজি ঘি মিশিয়ে ১৫-২০টি কোম্পানির নামে ভেজাল ঘি তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে বাজারজাত করণের উদ্দেশে থাকা প্রায় ৩০০ কেজি ভেজাল ঘি ও নামসর্বস্ব কোম্পানির ৭০০-৮০০ খালি ক্যান বিনষ্ট করা সহ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি কারখানাটি(আই কিউ ফুড প্রোডাক্টস) সিলগালা করে দেয়।

 

 

তবে যেন অদৃশ্য ক্ষমতার বলে জরিমানা ও সিলগালার অল্প কিছুদিন পরেই আবারো পুনরায় বীরদর্পে কারখানাটি পরিচালনা করে যাচ্ছে হাবিব,শাহিন গং। বিশ্বস্ত সূত্র অনুযায়ী স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ভেজাল ঘি কারখানা পরিচালনা করছে অসাধু এই চক্রটি। সূত্রটি বলছে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে তাদের কারখানায় ভেজাল ঘি উৎপাদন বেড়েছে দুধের কোনো উপাদান তো নেই-ই, উল্টো পাম অয়েল, ডালডা, সুজির সঙ্গে রং, ফেভিকলের আঠা আর সুগন্ধি মিশিয়ে চুলায় তৈরি হচ্ছে এই ভেজাল ঘি।

 

 

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী এই ভেজাল ঘি প্রস্তুতকারি সিন্ডিকেটটি শুধু যে চট্টগ্রাম নগরীতেই বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করছে তা নয়, তারা চট্টগ্রামের বাইরে অন্য জেলা গুলোতেও তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ব্যবসা করে আসছে।জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভোগ্যপণ্য মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার সৃষ্টি করছে। এমনকি কিডনি লিভার পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ক্ষতিকর এসব পণ্য বিক্রি করে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

 

 

 

উল্লেখ্য যে সচেতন মহল জানান অতি দ্রুত প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ কারখানা বন্ধের পাশাপাশি এ চক্রটিকে ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও প্রতারণার দায়ে যদি আইনের আওতায় আনতে সক্ষম না হয় তাহলে অনেক মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।

 

 

এ বিষয়ে জানতে মোঃ হাবিব এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিএসটিআই অনুমোদন আছে তবে আমি আপনাকে দেখাতে ইচ্ছুক নয়। এছাড়াও তিনি জানান প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই সে বর্তমানে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।