অনুসন্ধান :-পর্ব ১
মিজানুর রহমান: চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিউ মার্কেটের স্টেশন এলাকায় হোটেল ব্যবসার আড়ালে রমরমা দেহ-বাণিজ্য ও মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে হোটেল তাজমহল। যা নিয়ন্ত্রণ করছে হেলাল ও বিকাশ সিন্ডিকেট।
পরিচয় গোপন করে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অপ্রাপ্ত বয়স্ক যুগল, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধসহ যে কোন বয়সের যে কেউ খুব সহজে এখানে একান্তে সময় পার করতে পারে হোটেল গুলজারে। এই সুবিধা নিতে কারোরই নুন্যতম তথ্য যাচাইকরণ ছাড়াই চড়া মূল্যে একান্তে সময় কাটানোর জন্য ঘন্টা অনুযায়ী ও দিন-রাতের জন্য দেয়া হয় রুম ভাড়া।
এছাড়াও সুযোগ বুঝে আবাসিক হোটেলে রুম নেয়া বিশেষ অতিথি ও দর্শনার্থীদের চাহিদামত জোগাড় করে দেয়া হয় মনোরঞ্জনের খোরাক মধু কন্যাদের।আরো জানা যায়, মধু চক্রের সাথে রুম ভাড়া নিয়ে নির্ভয়ে মাদক সেবনের আস্থাশীল জায়গায় পরিনত হয়েছে এ হোটেল। এছাড়াও হোটেল কক্ষে সুন্দরী পতিতা রেখে চালানো হচ্ছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এতো সব অনৈতিক আয়োজনের কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে করার সুযোগ করে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ হেলাল ও বিকাশ সিন্ডিকেট।
নিউ মার্কেটের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কিভাবে দিনে দুপুরে এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ড চলছে তা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, কিছুদিন আগে তাজমহল আবাসিকে থানা পুলিশের অভিযানে একাধিক নারী-পুরুষ আটক করা হলেও থেমে নেই হোটেলটির অপকর্ম। এখনো দিনে দুপুরে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন ফলে তারা এ সাহস পাচ্ছে বলে জানান অনেকেই। এই সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি না হলে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত অপরাধে লিপ্ত হবেন এবং তরুণ সমাজ সামাজিক অবক্ষয়ে আক্রান্ত হবে, এমনটাই দাবি সুশীল সমাজের।
এ বিষয়ে জানতে হেলাল ও বিকাশ সিন্ডিকেটের প্রধান মোঃ হেলালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমি খুব অসুস্থ বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য বিকাশের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি আপনার কিছু জানতে হলে হোটেল মালিক হেলাল সাহেবের সাথে কথা বলুন অতঃপর তিনি প্রতিবেদককে হেলালের মুঠোফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন এছাড়াও তিনি বলেন আমি রমজানের ঈদের সময় এখানে এসেছি।
এছাড়াও বিকাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার পর ফরহাদ নামক এক ব্যক্তি প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কল দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ ও প্রতিবেদকের সাথে সরাসরি কথা বলার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য যে উক্ত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বক্তব্য সহ অতিদ্রুত থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।