নগরীর বায়েজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১ দৈনিক জনমুক্তি দৈনিক জনমুক্তি দৈনিক জনমুক্তি প্রকাশিত: ২:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৪ বিশেষ প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় অতর্কিত হামলায় ইমন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইমন বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আমিন কলোনির মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সবুজের অনুসারী বলে জানা যায়। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় নগরীর বায়েজিদ এলাকার শান্তিনগর কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ফোর্স পাঠিয়ে আহত ইমনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা দিলেও শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। উক্ত হত্যাকাণ্ডের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আজ বিকেলে নগরীর বায়েজিদের টেক্সটাইল মোড়ে ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার সামনে এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে স্থানীয় জনসাধারণ আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে এ স্লোগানে স্লোগানে প্রশাসনের নিকট দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। উল্লেখ্য যে স্থানীয় ও একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ গ্রুপের সঙ্গে বিএনপি নেতা ইলিয়াস গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত বিষয়ে মোঃ সবুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান ঘটনার দিন আমি পটিয়া ছিলাম আমার কোন অনুসারী কোন সংঘর্ষে যায়নি। তবে ইমন আমার কর্মী ছিল। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে বিএনপি’র একজন গর্বিত কর্মী/নেতা হয়ে আমি ও আমার পরিবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি এখনো ষড়যন্ত্রের শিকার উক্ত ঘটনার দিন আমি পটিয়া ছিলাম আমার এই কর্মীকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। এমনকি যারা আমার কর্মী ইমনকে মেরে ফেলেছেন তারা ইমনকে উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশের গাড়িতে হামলা ও চালাই কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আমি সহ আমার পরিবারের চারজনকে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি করে। অথচ শাহ আলম, হিরোইন কাসেম, ঝন্টু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে ও পুলিশের উপর হামলা চালায়।তিনি আরো বলেন আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আকুল আবেদন জানাই আমি ও আমার পরিবার অনেক লাঞ্ছিত হয়েছি আপনারা সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। উক্ত বিষয়ে বায়জিদ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন ইমন হত্যাকাণ্ডে তার পিতা বাদী হয়ে মামলা করেছেন আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে। মামলার কাগজ চাইলে উনি বলেন আদালতে দাখিল করা হয়েছে ওখান থেকে নেন। পাশাপাশি পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হয়েছে এবং তিনজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। SHARES অপরাধ বিষয়: