চাক্তাইয়ে রোহিঙ্গা কর্তৃক অপহরন ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ২ রোহিঙ্গা সহ আটক ৩

প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফিশারী ঘাটের নতুন বাজার এলাকা থেকে অপহৃত একটি বোট ও ৩ জেলের মুক্তির জন্য ৬ লক্ষ টাকার মধ্যে ৩ লক্ষ টাকা দিয়েও মুক্তি মিলছে না। একদিন দুইদিন করে করে গত ৪ মাস হয়ে গেলেও ফিরে আসছে না জেলে ও ফিশিং বোট। ফলে তাদের পরিবারে বইছে কান্নার রোল। অভাব-অনটন আর ভয়ে কাটছে দিন তাদের। স্বামী বেচে আছে নাকি মরে গেছে জানে না তার স্ত্রী ও সন্তানেরা।

 

নগরীর বাকলিয়া থানার একটি মামলার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারীর ১৮/১৯ তারিখ ফিশারী ঘাট এলাকা থেকে এমভি গাউছে পাক নামক একটি বোট ও বোটের অধীনে কাজ করা তিন জেলে নিখোজ হয়। অনেক খোজাখুজির পরও তাদের পাওয়া না গেলে হঠাৎ পরদিন একটা ফোন কলের মাধ্যমে খবর আসে, তাদের অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে। জেলেদের জীবন বাচাতে হলে দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা। পরে বোট মালিকের সাথে অত্র এলাকার কিছু লোক যোগাযোগ করে জানান ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়ানো যাবে তাদের। কিন্তু ইতোমধ্যে তিন লক্ষ টাকা দিলেও যোগাযোগকারীরা কোন খোজ দিতে পারেনি বোট ও জেলেদের। এ ঘটনায় বোট মালিক বাকলিয়া থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী রেখে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

 

ভুক্তভোগী বোট মালিক জানান, অপহরণ করে আসামিরা অজ্ঞাত আসামিদের মাধ্যমে আমার জেলেদের আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন থেকে ২ জন ফেরত এসেছে বাকি একজনের ও আমার বোটের কোন খোঁজ খবর পাচ্ছি না।

 

 

এদিকে অপহরণের মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান বাকলিয়া থানা পুলিশ। অতি দ্রুত বোটসহ  উদ্ধার হবে বলে আশা তাদের।

 

 

এদিকে স্বামীকে না পেয়ে কান্না যেন থামছেই না জেলেদের স্ত্রীদের। তারা বেচে আছে নাকি মরে গেছে জানতে চায় তারা। প্রশাসনের কাছে তাদের দাবী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে যেন তাদের প্রাণের স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।